কুলিয়ারচরে মাদক ব্যবসায় বাধা দেয়ায় বাড়ি-ঘরে হামলা, ভাঙ্গচুর ও লুটপাট

কুলিয়ারচরে মাদক ব্যবসায় বাধা দেয়ায় বাড়ি-ঘরে হামলা, ভাঙ্গচুর ও লুটপাট
এম আর ওয়াসিম, ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে পৌর এলাকার পইলানপুর গ্রামে মাদক ব্যবসায় বাধা প্রদান করায় নূরুক হক ভূইয়ার বাড়িতে চিহ্নিত   মাদক ব্যবসায়ী ছোটন ও তার ফুফাত বোন সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর ইয়ামিন দলবলসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আক্রমণ চালিয়ে কাতার প্রবাসী রাতুল আহমেদ মিঠুন ও ঝুমা বেগমের বাড়ি- ঘর এবং আসবাবপত্র  ভাঙ্গচুর ও লুটপাট করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। উক্ত ঘটনায় মিঠনের বড় ভাইয়ের স্ত্রী মিনা বেগম বাদী হয়ে গতকাল ৩১ আগস্ট মঙ্গলবার কুলিয়ারচর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে।
এব্যাপারে প্রবাসী  মিঠুন বলেন, প্রতিপক্ষ আঞ্জু মিয়ার পুত্র ছোটন একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। তাকে মাদক ব্যবসায় বাধা নিষেধ দিলে ছোটন আমাদের উপর ক্ষিপ্ত হয় এবং আমাদের সাথে ঝগড়া সৃষ্টি করে। পরে গতকাল বিকেলে ছোটন তার ফুফাত বোন কুলিয়ারচর পৌরসভার  সংরক্ষিত মহিলা আসনের কাউন্সিলর ইয়াসমিনের সহযোগিতায় দলবল সহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমার বাড়িতে হামলা চালিয়ে বাড়ি ঘর আসবাবপত্র  ভাংচুর  ও লুটপাট করে। উক্ত ঘটনায় প্রায় ৩ লক্ষ টাকা আসবারপত্র ভাংচুর ও ৬ ভরি স্বর্ণালংকার সহ পোল্টি ফার্মের মুরগি বিক্রয়ের নগদ ৬ লক্ষ টাকা লুট করে নিয়ে যায়।
এঘটনায় লিটন মিয়ার স্ত্রী জুমা বেগম বলেন, মাদক ব্যবসায়ী ছোটন এবং মহিলা কাউন্সিলর  ইয়াসমিনের লোকজন দলবল নিয়ে  দেশী অস্ত্র  নিয়ে আমাদের উপর আতর্কিত ভাবে হামলা চালিয়ে আমার ঘর বাড়ি ভাংচুর করে। এসময় তাদের কে বাধা দিলে তারা আমাকে বেধড়ক মারধর ৬০ হাজার টাকা, ৪ টি ছাগল, একটি স্বর্ণের চেইন, ও একটি কানের দুল লুট করে নিয়ে যায়। এছাড়াও আমার বৃদ্ধা শ্বাশুড়ী হোসনে আরা বেগম ও আমার ননদের মেয়ে  সপ্তম শ্রেনীর ছাত্রী আলমিন কে মারাত্মক জখম করে।  তারা বর্তমানে কুলিয়ারচর উপজেলা  স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।
এবিষয়ে সংরক্ষিত মহিলা আসনের কাউন্সিলর ইয়াসমিন বেগম বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট। উভয় পক্ষের মারামারির ঘটনাটি ইতিমধ্যে  কুলিয়াচর পৌর সভায় মেয়র মহসিন সারোয়ার কে অবগত করা হয়েছে এবং তিনি আস্বাস দিয়ে বলেন উঘটনা মারামারির ঘটনাটি  মীমাংসা করা হবে বলে আশ্বস্ত করেন।
এবিষয়ে কুলিয়ারচর থানার উপ পরিদর্শক আবু কাউসার মিয়া বলেন, উক্ত ঘটনায় মিনা বেগম বাদী হয়ে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। ঘটনা সুষ্ঠু ভাবে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা

আপনি আরও পড়তে পারেন